1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে কর্মীদের অধিকার আরো জোরালো করার ডাক

২ মে ২০২৩

মে দিবসে জার্মানির শ্রমিক সংগঠনগুলি নিজেদের সাম্প্রতিক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে শ্রমিক ও কর্মীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও জোরালো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4QmPs
মে দিবসে মিউনিখের রাস্তায় বিশাল সমাবেশ
মে দিবসে মিউনিখের রাস্তায় বিশাল সমাবেশছবি: Sachelle Babbar/ZUMAPRESS/picture alliance

করোনা সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের অনেক দেশের মতো জার্মানিতেও অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি ঘটিয়েছে৷ ফলে শ্রমিক ও কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলি সম্প্রতি বড় আকারের ধর্মঘট ডেকে বার বার বিঘ্ন ঘটিয়েছে৷ কিছু ক্ষেত্রে মোটা অংকের বেতনবৃদ্ধি আদায় করতে পারলেও সংগ্রাম এখনো শেষ হয় নি৷ মে দিবসউপলক্ষ্যে শ্রমিক নেতারা আগামী কয়েক সপ্তাহেও জোরালো দরকষাকষির পূর্বাভাস দিয়েছেন৷ শুধু বেতনবৃদ্ধি নয়, শ্রমিকদের অধিকারের উন্নতির লক্ষ্যেও জার্মানির ট্রেড ইউনিয়নগুলি সোচ্চার হয়ে উঠেছে৷ ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তেও শ্রমিক সংগঠনের জোরালো ভূমিকা পালন করছে৷

জার্মানির শ্রমিক সংগঠনগুলির কেন্দ্রীয় সংগঠন ডিজিবি-র প্রধান ইয়াসমিন ফাহিমি সোমবার কোলন শহরে এক ভাষণে বলেন, সামাজিক অগ্রগতির জন্য সংগ্রাম চালাতেই হবে৷ তিনি শিল্পবাণিজ্য জগতের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তাঁরা কর্মক্ষেত্রে ভালো পরিবেশের লক্ষ্যে অগ্রগতি চাইছেন না৷ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তাঁদের কোনো নিজস্ব উদ্যোগ নেই৷ ফাহিমি সেইসঙ্গে জার্মানির ফেডারেল সরকারের উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার প্রতি আরও মনোযোগ দেবার আহ্বান জানান৷ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, লাগামহীন বাসাভাড়া এবং বাসস্থান সংকটের মতো সমস্যা সমাধানের ডাক দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর মতে, শুধু কথায় নয়, সরকারকে কাজের মাধ্যমে আন্তরিকতা দেখাতে হবে৷

জার্মানির শিল্পজগতের শ্রমিক সংগঠনের প্রধান ইয়োর্গ হোফমান বার্লিনে এক ভাষণে শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার নিয়ো কোনো আপোশের তীব্র বিরোধিতা করেন৷ তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা মেনে নেওয়া হবে না৷ বিমানবন্দর বা সার্বিকভাবে পরিবহণ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্দশা সম্পর্কে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হোফমান বলেন, মানুষের উপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করাই ধর্মঘটের লক্ষ্য৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, যে সাম্প্রতিক উদ্যোগের ফলে অনেক ক্ষেত্রে মোটা অংকের বেতনবৃদ্ধি ঘটেছে এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির সদস্যসংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে৷ সার্বিকভাবে জার্মানিতে শ্রমিক সংগঠন আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে হোফমান দাবি করেন৷

জার্মান চ্যান্সেলর ও সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎসও সোমবার মে দিবস উপলক্ষ্যে কোবলেনৎস শহরে ভাষণ দেন৷ তিনি কোম্পানিগুলির উদ্দেশ্যে শ্রমিক-কর্মীদের আরও প্রশিক্ষণের ডাক দেন৷ শলৎস বলেন, কিছু কোম্পানি হন্যে হয়ে দক্ষ কর্মী খুঁজছে৷ কিন্তু কিছু কোম্পানি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ জার্মানিতে প্রশিক্ষণ আরও বাড়াতে সব পক্ষের সম্মিলিত উদ্যোগের ডাক দেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তাঁর মতে, কমপক্ষে আগামী এক দশকে বেকারত্ব কোনো সমস্যা হবে না৷ উলটে উপযুক্ত দক্ষ কর্মীর খোঁজে কোম্পানিগুলিকে বেগ পেতে হচ্ছে৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি অভিবাসনের প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দেন৷ তবে তাঁর সরকার লাগামহীন অভিবাসনের বদলে নিয়ম-ভিত্তিক নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন প্রক্রিয়া চালু করছে বলে শলৎস আশ্বাস দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, জার্মানির অর্থনীতি, কাজের নিরাপত্তা এবং অবসর ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সেই পদক্ষেপও অত্যন্ত জরুরি৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)